ছবি সংগৃহীত
চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজির দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা এবং খোলা চিনি প্রতি কেজির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা পহেলা ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর হবার কথা রয়েছে। চিনির দাম বাড়িয়ে যে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তার চেয়ে ৮ থেকে ১৩ টাকা বেশিতে বেচাকেনা হচ্ছে বাজারে। এতে চিন্তার ভাজ কপালে পড়েছে সাধারণ ভোক্তাদের।
চিনি নিয়ে অস্থিরতা নতুন নয়। দীর্ঘদিন থেকেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে চিনি বিক্রি হয়ে আসছে বাজারে। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, সরকার কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে না বলে খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজির দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা এবং খোলা চিনি প্রতি কেজির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকার কমে মিলছে না। কোথাও কোথাও সর্বরাহ কম থাকার অজুহাতে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া সকালের বাজারের দোকানি রতন বলেন, ‘চিনিই বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছি। যেখানে দাম বাড়িয়ে ১১২ টাকা করা হয়েছে, সেখানে এখনই চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। কেউ কেউ ১২৫ টাকাতেও বিক্রি করছেন। আবার চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। কাস্টমারের সঙ্গে তর্ক করতে পারব না। তাই বেচি না।’
কারওয়ান বাজারের কাঞ্চনপুর হাজী স্টোরের মিজানুর রহমান বলেন, ‘দাম বাড়ার আগে থেকেই এর চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। নতুন রেটে চিনি আসবে বলছে। আগের রেটেই তো বাড়তি দামে বিক্রি করছে সবাই। নতুন দরে এলে কী হবে জানি না। চিনিও চাহিদা অনুযায়ী দিচ্ছে না। পত্রপত্রিকায় আপনারা লিখতেছেন, কিন্তু চিনির দাম তো কোনো মতেই কমছে না। এর কোনো সমাধানও আসতেছে না। বাজারে আগেই দাম বাড়ে যাচ্ছে। কেউ মনিটরিং করছে কিনা জানি না। সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না কঠোর হবে, ততক্ষণ এর সমাধান হবে না বলেও মনে করেন ব্যবসায়ী।