ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

আর্থিক খাত চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে: ইউনুসুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:২৭, ১ ডিসেম্বর ২০২২

আর্থিক খাত চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে: ইউনুসুর রহমান

২০০৯-১০ সাল থেকে স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং শুরু হয় এবং ভিশন ২০২১, ২০৩০ ও ২০৪১ সালে দেশ কোথায় যাবে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে। তারপর থেকেই দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়। আর যখন থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে, তখন থেকেই বিভিন্নমুখী সমালোচনার মধ্যে ফিনান্সিয়াল সেক্টরে সমালোচনাটা বেশি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আরও কিছু সমালোচনা যোগ হয়েছে যার কোনো ভিত্তি নেই। সব মিলিয়ে আর্থিক খাত একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত ২ দিনব্যাপী ‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংস (আইপিও): প্রসেসেস অ্যান্ড প্রসিডিউরস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে ডিএসই’র চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজার দেশের শিল্পোন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রধান উৎস হওয়ার কথা থাকলেও, সেই অবস্থানে যেতে পারছে না। দেশে মূল অর্থায়ন হয় ব্যাংকের মাধ্যমে, ব্যাংক স্বল্পমেয়াদে আমানত সংগ্রহ করে শিল্পখাতে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ প্রদান করে। যার ফলে কিছু অমিল লক্ষ্য করা যায়। আমরা যারা শেয়ারবাজারের সাথে জড়িত, তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শেয়ারবাজারকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের মূল উৎসে পরিণত করা। শেয়ারবাজারকে অর্থনীতির মূল উৎসে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা প্রদান করছি।

আইপিও প্রসেস অ্যান্ড প্রসিডিউরস বিষয়ে ইউনুসুর রহমান বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি উত্তোলনের নিরাপদ ও টেকসই উৎস হবে দেশের শেয়ারবাজার৷ সেইজন্য আইপিও প্রক্রিয়াটা আরও স্বচ্ছ ও সুন্দর হওয়া জরুরি৷ ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্টের ভিত্তিতে আইপিও নির্ধারিত হয়৷ কাজেই ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্টগুলো যেন অধিকতর স্বচ্ছ হয়, সে বিষয়ে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কাজ করছে৷ আগামি দিনগুলোতে চার্টার্ড একাউন্টিং ফার্মসমূহ আরও আন্তরিকতার সাথে বিষয়গুলো পরিচালনা করবে, তখন স্টেটমেন্টগুলোর সঠিকতা নিয়ে যে অভিযোগগুলো রয়েছে সেগুলো দূরীভূত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, বিগত নয়-দশ বছরে দেশে শতাধিক কোম্পানির আইপিও এসেছে, এর মধ্যে অনেকগুলো বর্তমানে ফেসভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে। এখানে যেসব ভুলভান্তি রয়েছে তা নির্ধারণপূর্বক সংশোধনীমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে উত্তরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

এর আগে ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আইপিও’র প্রসেস, প্রসিডিউর এবং বিধি ও প্রবিধানসমূহ সবই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আছে। তারপরও এই প্রশিক্ষণের বিশেষত্ব হলো প্রশিক যারা রয়েছেন তাদের প্রয়োগিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা৷ যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে বা তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে সেসব কোম্পানিতে যারা কাজ করছেন এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা তাদের কোম্পানির জন্য ভ্যালু এড করতে পারবেন।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন