ঢাকা,  শুক্রবার  ০৯ মে ২০২৫

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

পুঁজিবাজার সংস্কারসহ ৪৭টি প্রস্তাব আইএমএফের

নিউজ জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পুঁজিবাজার সংস্কারসহ ৪৭টি প্রস্তাব আইএমএফের

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা বাড়াতে ব্যাংক, রাজস্ব ও পুঁজিবাজারের মোট ৪৭টি সংস্কার প্রস্তাবের পাশাপাশি নতুন করে অর্থনৈতিক ভবিষ্যবাণী মডেল প্রস্তুত করতে আগ্রহ দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী মডেল প্রস্তুত প্রস্তাব করে আইএমএফের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

দাতা সংস্থাটির ঢাকায় সফররত কারিগরি সহায়তা (টিএ) দল জানায় নতুন মডেলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংকট নিরসন হবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি কমিয়ে আসেব। যার ফলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে ও নতুন গতি লাভ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আইএমএফের প্রতিনিধি দলের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন প্রস্তাব বাস্তবায়নে সকল সহযোগিতা করা হবে।

এসময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে ‘ইকোনমিক মডেল ফরকাস্টিং’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আইএমএফের কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠক অর্থনৈতিক ফরকাস্টিং মডেলসহ বিভিন্ন আলোচনা হয়। গভর্নর তাদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।’

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র থেকে জানা গেছে, আইএমএফের উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি, এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি প্রোগ্রাম এবং নতুন তৈরি রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) অধীনে ভবিষ্যতে কীভাবে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা যায়। বিষয়ে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী মডেলের মাধ্যমে সতর্কতামূলক নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। যা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ক্ষতি কমিয়ে আনবে এবং অর্থনীতিকে বেগবান করবে। এতে সামষ্টিক অর্থনীতি টেকসই হবে এবং সংকট দলীকরণে অগ্রণী  ভূমিকা পালন করবে।’

গত ১৮ জুন ২০২৩–২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে নীতি সুদহারের করিডর প্রথা, সুদহারের সীমা প্রত্যাহার ও রিজার্ভের প্রকৃত হিসাবায়নসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তা আগে গত বছরের জুলাই মাসে সংস্থাটির কাছে ঋণের আবেদন করে সরকার। ঋণের শর্ত হিসাবে সংস্থাটির পক্ষে থেকে ৪৭টি সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এসব দাবি ধাপে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদ দেওয়া হয়। যার প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করে গত ফেব্রুয়ারিতে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ নভেম্বর মাসে মিলতে পারে।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন