ছবি সংগৃহীত
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় শুধু বয়স্করাই নন বরং কম বয়সীরাও আক্রান্ত হন। লিভারে চর্বি জমা বা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অবহেলা করলে তা মারাত্মক হতে পারে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা মূলত অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে ঘটে।
মূলত দুই ধরনের ফ্যাটি লিভার হয়- অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার মূল কারণ হলো মদপান।
তবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অ্যালকোহলের সঙ্গে যুক্ত নয়। যে কারও এ সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বেশি দেখা দেয়।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এমন একটি অবস্থা, যেখানে লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি জমা হয়। চর্বি জমা অবশ্য অ্যালকোহল ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত বা সম্পর্কিত নয়।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজও আবার দু‘ধরনের হতে পারে- সাধারণ ফ্যাটি লিভার (এনএএফএল) ও নন অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস (এনএএসএইচ)।
সাধারণ ফ্যাটি লিভার বলতে সেই অবস্থাকে বোঝায় যেখানে লিভারে চর্বি জমা হয়, তবে প্রদাহ ও লিভারের ক্ষতির কোনো লক্ষণ থাকে না।
অন্যদিকে নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস (এনএএসএইচ) হলো এনএএফএলডি’র একটি গুরুতর রূপ। কারণ এটি শুধু চর্বিই জমা করে না, এর সঙ্গে লিভারের কোষগুলোর প্রদাহও বেড়ে যায়।
যা ফাইব্রোসিস বা লিভারে দাগের সৃষ্টি করে। পরবর্তী সময়ে এটি আরও জটিলতা সৃষ্টি করে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা একসময় লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারের দিকে পরিচালিত করে।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় শরীরে নানা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ক্লান্তি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করেন তাহলে সতর্ক থাকতে হবে।
ক্লান্তবোধ করার বিষয়টি কখনো হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ এই লক্ষণ কিন্তু ক্যানসারেরও প্রাথমিক ও অন্যতম এক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে ক্লান্তি ঘন ঘন বোধ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ক্লান্তি ছাড়াও ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে আরও যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে-
১. পেটের উপরে ডানদিকে অস্বস্তি
২. পেটে ব্যথা
৩. খাবার খেলে অস্বস্তি
৪. পেট ফুলে ওঠা
৫. জন্ডিস
৬. ত্বকের নিচের রক্তনালি ফুলে ওঠা
৭. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
৮. ক্ষুধামন্দা
৯. পেটের ত্বকে চুলকানি
১০. চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া