ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

বাংলাদেশি শিশুকে চীনা প্রেসিডেন্টের চিঠি

নিউজ জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:০৫, ১ জুন ২০২৩

বাংলাদেশি শিশুকে চীনা প্রেসিডেন্টের চিঠি

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশি শিশু আলিফা চীনের লেখা চিঠির জবাব দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি শিশু আলিফা চীনকে চিঠি লিখে তাকে পড়াশোনা, তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে বলেন। এ ছাড়া, চিঠিতে তিনি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতেও উৎসাহিত করেন।

বুধবার (৩১ মে) ঢাকার চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

চিঠিতে শেয়ার করা শিশু চীনের গল্পটি দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি ভালো উদাহরণ উল্লেখ করে শি জিনপিং বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই চীনা ও বাংলাদেশিরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ভালো বন্ধু। যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো।

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ৬০০ বছরেরও বেশি আগে মিং রাজবংশের একজন চীনা নাবিক ঝেং হে দু’বার বাংলাদেশে এসেছিলেন। যা দু’জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বীজ বপন করেছিল। ৬০০ বছরেরও বেশি সময় পরে চীনের নৌবাহিনীর একটি হাসপাতালের জাহাজের (দ্য পিস আর্ক) একজন চীনা নারী সামরিক ডাক্তার শিশু চীনের মাকে বিপজ্জনক সময়ে তাকে জন্ম দিতে সাহায্য করেছিলেন। আর চীনের বাবা তার নাম রেখেছেন চীনের বাংলাদেশি শব্দ অনুসারে ‘চীন’। এটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী গল্প।

চীনা প্রেসিডেন্ট জানান, চীন বড় হয়ে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বার্তাবাহক হতে চায় জেনে তিনি খুবই আনন্দিত। আলিফা চীন ভবিষ্যতে চীনের একটি মেডিক্যাল স্কুলে পড়তে চায়, যাতে তার মতো অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারে।

শি আশা প্রকাশ করেন, চীন তার যৌবনকালের সর্বোত্তম ব্যবহার করবে এবং তার স্বপ্নকে বাস্তব করতে কঠোর অধ্যয়ন করবে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশু চীন যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন তার গর্ভবতী মা গুরুতর হৃদরোগের কারণে একটি কঠিন প্রসবের শিকার হন। সেই সময় চীনা জাহাজ ‘দ্যা পিস আর্ক’ চট্টগ্রামে অবস্থান করছিল। স্থানীয় হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় চীনা জাহাজের ডাক্তাররা তার মায়ের সিজার অপারেশন করেন। চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তার বাবা শিশুটির নাম রাখেন ‘আলিফা চীন’।

চলতি বছরের শুরুতে ‘আলিফা চীন’ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে একটি চিঠি লিখেছিল। চিঠিতে সে তার নিজের গল্প বলেছিল। চীনের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছিল। ভবিষ্যতে সে চাইনিজ মেডিক্যাল স্কুলে পড়ার আশা ব্যক্ত করেছিল যেন অন্যের জীবন বাঁচানো যায়।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন