
ছবি সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে চুরি। জাতীয় নির্বাচনে ভোট চুরি করে, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট চুরি করে। এখন সুপ্রিম কোর্টে ভোট চুরি করছে।
তিনি বলেন, চুরি ছাড়া এদের আর কোনো কিছু নেই। চুরি করেই এদের চলতে হয়। এদের পেশা এবং নেশা হচ্ছে চুরি। দেশটাকে চুরি করে ফোকলা করে দিয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রচিত ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ‘প্যাথলজিক্যাল চোর’ উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত রাতে সর্বোচ্চ আদালতের বারের নির্বাচনে ফলস ব্যালট পেপার ছাপিয়ে সিল মারছিল, সেটা ধরে ফেলার কারণে প্রচণ্ড রকমের গোলযোগ হয়েছে। আমাদের যিনি ৭ বার সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচিত সেক্রেটারি ছিলেন তাকে তারা আক্রমণ করেছে। এ কোন দেশ আমাদের! এ কোথায় আমরা দেশকে নিয়ে এলাম! এই কারণেই আওয়ামী লীগকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে যে, তারা এই দেশকে চরমভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।
দেশের মানুষ সরকারের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ ভালো করে খাবার কিনতে পারে না। দেশের শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ আমিষ খেতে পারে না। দেশের মানুষ এখন গরুর মাংস-খাসির মাংস খেতে পারে না। এমনকি মাছে পর্যন্ত হাত দিতে পারে না। দেশে তারা (আওয়ামী লীগ) গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব কিছুর দাম বাড়িয়ে চলেছে। তাদের তো আর এর বিল দিতে হয় না। জনগণের পকেট কেটে তারা এ বিল দেয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে চরমভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের মূল্যবোধ এবং আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সব কিছুই তারা ভেঙে দিচ্ছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা, ভিন্নমত ধ্বংস করাই হলো আওয়ামী লীগের মূলনীতি। ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের যা যা করা দরকার, তারা তাই করছে।
‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ গ্রন্থের লেখক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় চেষ্টা করছি লেখনির মাধ্যমে আমার নিজের অভিজ্ঞতা, নিজের চিন্তা-চেতনা, নিজের কর্মকাণ্ডগুলো ফুটিয়ে তুলতে। সেজন্য বই লেখা। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলাম, এখন রাজনীতিবিদ। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা আসলে এতো রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন- ক্ষমতায় থাকলে রাষ্ট্র চালানো, বিরোধী দলের থাকলে জেল-জুলুম-নির্যাতনে পালিয়ে থাকা, লেখার সময় কোথায়? জেলে থাকার সময় বেশিরভাগ সময় এই লেখালেখির কাজে ব্যবহার করেছি। আমি শুধু চেষ্টা করেছি বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটা কাজে লাগবে।