
ছবি সংগৃহীত
সাত বছর পর বর্ধিত সভা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত দুই অধিবেশনে হবে এ বর্ধিত সভা।
বিএনপি সূত্র জানায়, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি প্রস্তুতিসহ দলের পরিকল্পনা এ সভায় সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে।
বিগত আন্দোলনের মূল্যায়নের পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত দলের কর্মপরিকল্পনা কী হবে, সে বিষয়ে মতামত নিতেই এ সভা ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান, জনপ্রিয়তা এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ কেমন, সেই চিত্র উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সভায় জেলা-মহানগর, উপজেলা-থানা ও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি-আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক-সদস্যসচিবরা বক্তব্য দেবেন।
সভা উপলক্ষে আমরা বিএনপি পরিবার ‘আস্থা’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে। সকালে সভায় তারেক রহমানের বক্তব্যের পর দুপুরের পর শুরু হবে রুদ্ধদ্বার অধিবেশন, যেখানে তৃণমূলের নেতারা বক্তব্য দেবেন। পরে সমাপনীতে তারেক রহমান বক্তব্য দেবেন।
বর্ধিত সভা থেকে কী বার্তা আসতে পারে– জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব নেতা বর্ধিত সভায় আসবেন, যাদের ডাকা হয়েছে তাদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করেই অনেক কিছু উঠে আসবে। দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের নেতারা কী ভাবছেন, বর্ধিত সভা থেকে তার একটি ধারণা পাওয়া যাবে। সেই নিরিখে তৃণমূলকে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এসব নেতা দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে আন্দোলন করেছেন। এখনকার পরিস্থিতিতে করণীয় কী, কী ধরনের প্রস্তাব গ্রহণ করা যায়- তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেটি আসবে।
বর্ধিত সভায়, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্যসচিব; থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবরা অংশ নেবেন।
এ ছাড়াও সভায় বিএনপির ১১টি সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকেরাও থাকবেন। সব মিলিয়ে বর্ধিত সভায় সারা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতা অংশ নেবেন।