ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৬ জুন ২০২৫

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

তিনটি বইয়ের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন বঙ্গবন্ধু

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:২৫, ৩ এপ্রিল ২০২৩

তিনটি বইয়ের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন বঙ্গবন্ধু

তিনটি বইয়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (ফসওয়াল)। রোববার (২ এপ্রিল) গণভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার ও মফিদুল হক।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক অজিত কৌরের লেখা চিঠি, বই এবং উপহার হিসেবে একটি শতবর্ষী প্রাচীন নিদর্শন ‘ফুলকরি চাদর’ হস্তান্তর করা হয়।

ফসওয়াল গত ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ট্রিলজি- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ রচনার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করে।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বলেন, পুরস্কার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে বঙ্গবন্ধু হিমালয়ের মতো উচ্চতায় থাকলেও তিনি তার লেখাতেও অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের কথা উলে­খ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ আজ একটি বিশ্ব দলিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সমগ্র জাতিকে অনুপ্রেরণাদায়ক এ ভাষণটি একটি রাজনৈতিক মহাকাব্য।

পুরস্কার হস্তান্তরের আগে পাঠ করা সম্মাননা স্মারকে বলা হয়, ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ট্রিলজির জন্য অসামান্য সাহিত্যিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ৬৩তম সাহিত্য উৎসবে সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছে।

প্রখ্যাত পাঞ্জাবি ঔপন্যাসিক এবং ফসওয়ালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবকালে সফররত বাংলাদেশি লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।

সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হলো ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (ফসওয়াল) কর্তৃক প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার।

সম্মাননা স্মারকপত্রে আরও বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান তার জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধু, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জাতীয় মুক্তির এক সুউচ্চ ব্যক্তিত্ব। মহাত্ম্যা গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিং-এর মতো অন্ধকারের শক্তিরা তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। কিন্তু পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবে না।

এতে বলা হয়, ‘হারিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা বইটি প্রকাশিত হলে তার জীবনের একটি নতুন মাত্রা উন্মোচিত হয়। ’

স্মারকপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘একজন ব্যক্তি যিনি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছিলেন এবং তার জনগণকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার রচিত ট্রিলজি হচ্ছে রাজনৈতিক দলিল এবং ভালবাসা ও সহানুভূতির সঙ্গে লিখিত একটি মানবিক সনদ। ’

‘শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ট্রিলজির জন্য অসামান্য সাহিত্যিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সম্মানিত করার সুযোগ পেয়ে সার্ক লেখক ও সাহিত্যের ফাউন্ডেশনের গর্বিত। ’

ভারতের রাজধানী নয়াদিল­ীতে ২৬ মার্চ থেকে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক যোগ দিয়েছেন।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন