
উইমেন অ্যান্ড এনার্জি কার্নিভ্যাল ২০২৫
জ্বালানি খাতে নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ আরও প্রসারিত করার লক্ষ্যে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো ‘উইমেন অ্যান্ড এনার্জি কার্নিভ্যাল ২০২৫’। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)-এর উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড এনার্জি (উই) সেক্টরের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে নীতিনির্ধারক, উন্নয়নকর্মী, গবেষক, উদ্যোক্তা এবং তৃণমূল নারী অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কার্নিভ্যালের আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে টেকসই জ্বালানি রূপান্তরে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। নারীদের অংশগ্রহণকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সমান সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।
এমজেএফ-এর পরিচালক (রাইটস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স প্রোগ্রাম) বিদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি খাতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। বিশেষ করে পল্লী অঞ্চলে টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে নারী নেতৃত্বকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।”
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শামীম আরা নেসারিন বলেন, “উইমেন অ্যান্ড এনার্জি কার্নিভ্যাল নারীদের কণ্ঠস্বরকে জোরালো করেছে। বাংলাদেশকে সবুজ ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের পথে নারীর ভূমিকাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।”
প্রসিডেন্টস সেন্টার ফর পাবলিক ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক এম. খন্দকার প্রলয় মজুমদার বলেন, “ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরণের সুযোগ তৈরি হবে, যেখানে নারীর অবদান অনিবার্য।”
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়ে নারীদের অংশগ্রহণ ও স্বীকৃতি বাড়াতে যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দিনব্যাপী আয়োজনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নারী উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জ্বালানি খাতের নীতি-সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এ আয়োজন বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি খাতের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।