
ছবি সংগৃহীত
পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী এম ভি সুন্দরবন ১৪ লঞ্চের কেবিন সুপারভাইজার আব্দুর রাজ্জাকের খুনিদের বিচারের দাবিতে রবিবার দিনভর উত্তাল ছিল পটুয়াখালী।
রবিবার ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৪ টার সময় পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে রাজ্জাক হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, রাজনৈতিক ও সকল শ্রেণীর পেশাজীবীরা।
পটুয়াখালী পৌরবাসী ব্যানারে এই প্রতিবাদ সভা থেকে বক্তারা সুন্দরবন লঞ্চ কে বয়কটের ডাক দেন ।
সমাবেশ থেকে যুবলীগ নেতা রেজাউল করীম পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের সমাজে একটি কথার প্রচলন আছে যে খারাপ লোকেরা সব সময় আইনের ফাক দিয়ে বেরিয়ে যায়।তাই তিনি পুলিশের বড় কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ যদি খুনি ইউনুস ও মশিউরকে বাচানোর চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে একশন হবে বলে হুশিয়ারি করেন তিনি।
এছাড়া সমাবেশ থেকে ব্যবসায়ী সাঈদ গাজী বলেন, প্রশাসন থেকে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে যে ইউনুসকে বাদ দিয়ে মশিউরকে প্রধান আসামি করে মামলা করতে যেটা আমরা কোন ভাবেই মেনে নিব না।
এছাড়া সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন প্রয়োজন হলে বিচার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন আমরা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে যাবো।
এদিকে আব্দুর রাজ্জাক নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী মোসা. মিনারা আক্তার (৪২) বাদি হয়ে রোববার পটুয়াখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামী করা হয়েছে ওই লঞ্চের কেরানি মো. মশিউর রহমান ও ইন্সপেক্টর মো. ইউনুসকে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃত এ দুই লঞ্চ স্টাফকে পরবর্তীতে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।
পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন,’এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদি
হয়ে দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃত আসামী কেরানি মশিউর রহমান ওসুপারভাইজার মো. ইউনুসকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।