ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লেগে একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের গদারবাগ এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। কারখানা থেকে আগুনের ফুলকি আশেপাশের অন্তত ৫টি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, ‘ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।’
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, ‘কেমিক্যাল গোডাউনের পাশের একটি বাসায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে একই পরিবারের ৫ জন মারা গেছেন।’
নিহতরা হলেন— জিয়াসমিন আক্তার (৩৫), তার মেয়ে এশা আক্তার (১৪), এশার চাচা সোহাগ (২৫), সোহাগের স্ত্রী নিনা বেগম ও তাদের দেড় বছরের কন্যা তাইয়েবা।
প্রত্যদর্শীরা জানান, দুই পাশে গোডাউনের মাঝখানে একটি ভবনে থাকতেন তারা। সোহাগের বাবা ও মা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত ব্যক্তির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বিস্ফোরণে নিহত পরিবারের প্রত্যেককে ২৫ হাজার ও আহত ব্যক্তিদের ১৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করেন।
বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক, দাহ্য পদার্থ ও প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদামঘর গড়ে তোলা যাবে না। এ বিষয়ে হাইকোর্ট ও সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও কিছু কিছু অতি লোভী সম্পত্তির মালিক ও ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে আবাসিক এলাকায় কারখানা ও গুদামঘর পরিচালনা করে থাকেন। এটা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ।