ভোলায় দিনব্যাপী নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের উদ্যোক্তা উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় আর এম টি পি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস)-এর আয়োজনে সোমবার সকাল থেকে ভোলা শহরের চরনোয়াবাদ এলাকায় জিজেইউএস-এর প্রধান কার্যালয়ের চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী এই মেলায় প্রাণিসম্পদভিত্তিক পণ্য নিয়ে ভোলা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার ২০ জন উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। মেলায় মাংসজাত, দুগ্ধজাত এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বিভিন্ন স্টল স্থাপন করা হয়। সকাল থেকেই নানা বয়সী নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে মেলাটি মুখর হয়ে ওঠে। রঙিন ও বৈচিত্র্যময় খাদ্যপণ্য দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে।
মেলা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহফুজুল হক। প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বরিশাল জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. নাসির উদ্দীন আহম্মেদ, পিকেএসএফ-এর সিনিয়র ভ্যালু চেইন স্পেশালিস্ট ড. এস. এম. ফখরুল আলম, ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সগর মল্লিক এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিন মাহমুদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন জিজেইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জিজেইউএস-এর উপপরিচালক ডা. খলিলুর রহমান।
মেলায় আগত দর্শনার্থীরা জানান, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি খাদ্যপণ্যের মান আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে এবং এ ধরনের আয়োজন পণ্যের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্যোক্তারা জানান, নিজেদের পণ্যের প্রচার ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই তাঁরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তার উদ্দেশ্যেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।
মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে ভোলার ওসমান গনি, বরিশালের সোনিয়া বেগম এবং মোছাঃ তানজিতা বেগমকে সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল উদ্যোক্তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।









