আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে মাইক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন একজন। তার পাশেই আবার ফাঁসির সেই মঞ্চে জলাদের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে আছেন অন্য একজন বিক্ষোভকারী। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগানও দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সবার মুখে মুখে একই বুলি- ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস হোক। অনেকেই আবার আন্দোলনের মাঝেই পুড়ছেন ইসরাইলের পতাকাও।
স¤প্রতি ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরাইলের নৃশংস হামলায় ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সাতজন সদস্য নিহত হন। সোমবারের বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে ইরানি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিও ছিলেন।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ায় ইরানি কর্মকর্তাদের হত্যার ধারাবাহিক হামলার মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মারাত্মক। যার জেরেই শুরু হয় এ বিক্ষোভ মিছিল।
ইসরাইলের হামলা শিকার নিহতদের জানাজার সময় ইরানের বিক্ষোভকারীরা আরো ফুলে ফেঁপে উঠেন। নিহত কর্মকর্তাদের জানাজার অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
দেশটির শহীদের জানাজায় অংশ নেওয়া বিশাল জনতার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন একজন সেনা। আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবসের দিনেই তেহরানে জানাজার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।