
ছবি প্রতিকী
ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সুমন মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফুলপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সুমন উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের কোনাবাঘাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করেন।
এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে সুমন মিয়া ও একই গ্রামের আমানুল্লাহকে (৩০) আসামি করে মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, গত শুক্রবার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার জন্য গফরগাঁও রেলস্টেশনে যান তিনি। সেখানে সুমন মিয়া তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে নান্দাইলের কোনাবাঘাড়ি গ্রামের এক জঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানে সুমন ও তার সহযোগী আমানুল্লাহ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। পরে তরুণীকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে ফেলে রেখে যান। পরে ঘটনাটি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত মিন্টুকে জানান তরুণী। কিন্তু চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার লোকজন তাকে ভয় দেখিয়ে নান্দাইল থেকে তাড়িয়ে দেন। এসময় তার হাতে পাঁচ হাজার টাকাও ধরিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
তবে অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসনাত মিন্টু বলেন, আমি ওই তরুণীকে পাঁচ হাজার টাকা দিইনি। ওই তরুণী শুক্রবার রাতে আমার কাছে এসে বলে আমাকে টাকা দেন, আমি বাড়িতে যাব। পরে আমি তাকে ১০০ টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলি। তাছাড়া, ওই তরুণী তখন ধর্ষণের কোনো অভিযোগও আমার কাছে করেনি।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, প্রথমে ওই তরুণীকে খুঁজে না পাওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তরুণীকে উদ্ধার করার পর তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তবে চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত মিন্টুর বিষয়টি আমার জানা নেই।