
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের বন্দর থেকে ইসরাইলমুখী অস্ত্রবাহী জাহাজ আটকে দিয়েছেন দেশটির বিক্ষোভকারীরা। তারা বলেছেন, যুদ্ধাস্ত্র বোঝাই করে এই যুদ্ধজাহাজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরাইল যাচ্ছিল।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, এই যুদ্ধজাহাজে বোঝাই করে নেওয়া অস্ত্র ইসরাইল চলমান সংঘাতে গাজার নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। ৩২ দিন ধরে চলা ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় প্রায় ৬ হাজার নারী-শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
টাকোমায় বিােভে অংশ নেওয়া ওয়াসিম হেজ বলেছেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধবিরতি চাই। আমরা এখন মানুষ হত্যা বন্ধ করাতে চাই। আমরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির আসল পরীক্ষা দেখতে চাই। আমরা দেখতে চাই, ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল দেওয়া বন্ধ হয়েছে।’
আরব রিসোর্সেস অরগানাইজিং সেন্টারে (এআরওসি) ওয়াসিম হেজ কেস ম্যানেজার ও কমিউনিটি আউটরিচ সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। সংগঠনটি গতকাল টাকোমা বন্দরে প্রতিবাদ বিােভের আয়োজন করেছে। হেজ বলেন, একটি গোপন সূত্রে এআরওসি জানতে পেরেছে, এই জাহাজে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বোঝাই করা হবে। এখান থেকে জাহাজটি ইসরায়েল যাবে। এই ইসরাইলেই গাজায় অনবরত বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জেফ জারগেনসন বলেছেন, আসলেই জাহাজটি মার্কিন সামরিক পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রতিরা দপ্তরের নানা কর্মকাণ্ডের গোপনীয়তার খাতিরে সামরিক পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত জাহাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যাবে না।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড জবরদখল করে অবৈধভাবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তাদের ঘোষিত তথ্য থেকেই এটা স্পষ্ট, ইসরাইলের প্রতিরা বাজেটের ১৬ শতাংশ সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রকৃতপে এই সংখ্যা আরও বেশি। খবর- পার্সটুডে