আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জেন-জি প্রজন্ম ফার্মের মুরগি নয়, তারা আবাবিল পাখির মতো সাহসী ও সংগঠিত। তার ভাষায়, এই প্রজন্ম শুধু স্বৈরাচারের পতন ঘটায়নি, বরং আন্দোলনের ধাক্কা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দেশের একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ন্যারেটিভ তৈরিতে সংবাদপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার সময়ে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক ন্যারেটিভ দেশকে গভীর সংকটে ফেলেছিল, কিন্তু জেন-জি প্রজন্ম সেই ভ্রান্ত ন্যারেটিভ ভেঙে দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, একসময় সাংবাদিকতা ছিল তোষামোদির শিল্প—প্রশ্ন করার বদলে প্রশংসা করা ছিল মূল কাজ। “হাসিনাকে জিজ্ঞেস করা হতো, কেন আপনি নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন না?” — এমন উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জেন-জি প্রজন্ম সেই সংস্কৃতি ভেঙে সরাসরি সত্য বলার সাহস দেখিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে জেন-জি প্রজন্মের নেটওয়ার্কিং ও সমন্বয় ছিল অভূতপূর্ব। “আমরা যাদের ফার্মের মুরগি ভেবেছিলাম, তারাই আবাবিল পাখির মতো সংগঠিত হয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে,”— মন্তব্য করেন তিনি।
নয়া দিগন্তের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝে সংবাদপত্রকে অভিযোজিত হতে হবে। তা না হলে ইত্তেফাকের মতো প্রাসঙ্গিকতা হারাবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের গণমাধ্যম অতীত সরকারের ভয়ের সংস্কৃতি তুলে ধরতে পারেনি। এখন দায়িত্ব হলো গুমসহ সেই অন্ধ অধ্যায়গুলো সামনে আনা, যাতে ইতিহাস পুনরাবৃত্তি না হয়।”
শেষে তিনি বলেন, “যদি শহীদদের কথা না তোলা হয়, যদি সত্য উচ্চারণ না করা হয়, তবে আগামীর বাংলাদেশে আমাদের টিকে থাকার অধিকার থাকবে না।”









