
গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় টানা বোমাবর্ষণে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জমজ শিশু ও সাংবাদিকও রয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজা সিটিতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালিয়ে এলাকার সর্বোচ্চ আবাসিক ভবন আল-ঘাফরি হাইরাইজ ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই তীব্র হামলার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন লাখো মানুষ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু গাজা সিটিতেই ৫১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয় বছর বয়সী যমজ শিশুও রয়েছে।
এ ছাড়া, তিনজন সাংবাদিকও পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন- নাসর এলাকায় প্রতিবেদক মোহাম্মদ আল-কুইফি, ফটোগ্রাফার ও সম্প্রচার প্রকৌশলী আইমান হানিয়ে এবং সাংবাদিক ইমান আল-জামিলি। এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৮০ জনে পৌঁছেছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত ৫০টি বহুতল ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। শহরের অন্যান্য এলাকাও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শুধু জায়তুন এলাকায় আগস্টের শুরু থেকে এক হাজার ৫০০’র বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, গাজা সিটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে ‘অস্বাভাবিকভাবে ব্যাপক হামলা’ চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ টানা তৃতীয় দিনের মতো হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে লিখেছেন, “সন্ত্রাসের টাওয়ার সমুদ্রে ভেঙে পড়েছে”। তবে ভবনটি হামাসের ব্যবহৃত ছিল এমন কোনো প্রমাণ তিনি দেননি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬৪ হাজার ৯০৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬৪ হাজার ৯২৬ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছে অসংখ্য মরদেহ।