সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে। হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীসহ দেশজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়ে, যা শেষ হবে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টায়। এর মধ্যেই নানা জায়গায় চলছে বাস, ট্রাক, ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা।
নিরাপত্তা প্রস্তুতির মধ্যেও হরতালের আগের রাতে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও ও গুলিস্তানে দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলিস্তানে মেয়র হানিফ ফাইওভারের টোল প্লাজার সামনে কমল পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে আগারগাঁও তালতলায় বিহঙ্গ পরিবহনের আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এর আগে মতাসীনদের পদত্যাগ ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের হরতালসহ পাঁচ দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলগুলো। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গত ১৬ নভেম্বর বিকেলে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আগের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তফসিল ঘোষণা করেন। মতাসীন দল আওয়ামী লীগ তফসিলকে স্বাগত জানালেও বিএনপিসহ সমমনা দল ও তাদের জোট এটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপি ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে। এর আগে মহাসমাবেশে বাধা ও নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দলটি।
গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে প্রথম দফায় সারা দেশে তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। তিন দিনের অবরোধের শেষ দিন ২ নভেম্বর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সেই ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ শুরু হয়। এরপর তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর সকাল ৬টায় শেষ হয়। এরপর চতুর্থ দফার অবরোধ শুরু হয় ১২ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে, যা শেষ হয় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৬টায়। পরে ১৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি।