চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেক মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সা¤প্রতিক সময়ে ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করছেন। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা, মৌসুমি বৃষ্টিপাত, জমানো পানি, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে। ফলে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গ্রাহকদের সুরক্ষার্থে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট, ট্রেনিং সেন্টার, এটিএম বুথ-সহ সব কেন্দ্র ও এর আশপাশে যেখানে এডিস মশার বিস্তার হতে পারে এমন স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এছাড়া এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র অর্থাৎ পানি জমার পাত্র, স্থানগুলো যেমন– পরিত্যক্ত ফুলের টব, অব্যবহৃত কৌটা, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদি বিনষ্ট করতে হবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্র যেমন– ভবনের ছাদ, গ্যারেজ, এসি, ফ্রিজ, পানির ট্যাংক, রান্নাঘর ইত্যাদি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
অফিস ভবনের পাশাপাশি ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসিক স্থাপনাগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ব্যাংক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ব্যাংকের কর্মক্ষেত্রে ও সংলগ্ন অংশে নিয়মিত মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করতে হবে বলেও জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, গ্রাম, শহর ও নগরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন– পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে ব্যাংক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।