ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ার রায় জনগণের জন্য আশাব্যঞ্জক। তার দাবি, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো দলীয় সরকারের তুলনায় অধিক গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত গণসমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন আগে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার জোরপূর্বকভাবে এটাকে বাতিল করেছিল। আজ সেই বাতিল হওয়া রায় পুনর্বহাল হয়েছে। এটি অবশ্যই জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে এবং ভবিষ্যতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেগুলো অতীতের দলীয় সরকারের আমলের নির্বাচনের তুলনায় আরও গ্রহণযোগ্য হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইসলামী দলগুলো একসঙ্গে একটি প্রতীক বা ‘একটা বাক্স’ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “আমরা জোট করবো না; তবে চেষ্টা করবো ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স রাখতে, যাতে অন্য কোনো দলীয় প্রতীক না থাকে।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আদালত আইনের ভিত্তিতেই রায় দিয়েছেন। দেশের পরিস্থিতি শান্ত রাখার দায়িত্ব সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বর্তায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণসমাবেশে ফয়জুল করিম আরও বলেন, জনগণ বিভিন্ন দলের প্রতীক দেখলেও ‘ইসলামের প্রতীককে’ একবারও সুযোগ দেয়নি। তিনি বলেন, “সব দলকে অনেকবার পরীক্ষা করেছেন। একবার ইসলামকে পরীক্ষা করে দেখুন। যদি ইসলাম ব্যর্থ হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার আর ভোট চাইতে আসবো না।”
ইসলামী আন্দোলন চর সামাইয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মুহা. ইলিয়াছ মহরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য দেন ভোলা—১ আসনের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুহা. ওবায়েদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।









